কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনার জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করছি। কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম (Artocarpus heterophyllus) এর উৎস দক্ষিণ ভারতের কেরেলা ও অতিবৃষ্টি অরণ্য মালেশিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। যাদের প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল উৎপাদন হয় বাংলাদেশ-ভারত শ্রীলংকা এই অঞ্চলগুলিতে।
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনকাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
কাঁঠাল যেহেতু একটি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার তাই এটি সচেতনভাবে খেতে হবে।কাঁঠালের পুষ্টিগুণ  কাঁঠাল অতিরিক্ত খেলে আবার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে কাঁঠাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কাঁঠাল সম্পর্কে।

ভূমিকা

কাঁঠাল যেহেতু একটি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার তাই এটি সচেতনভাবে খেতে হবে। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ অনেক।কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কাঁঠাল অতিরিক্ত খেলে আবার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে কাঁঠাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই কাঁঠাল সম্পর্কে।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ অনেক। কাঁঠাল যেহেতু একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার এই রসালো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সি ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম খনিজ পদার্থ উপাদান থাকে।আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।কাঁঠাল ওজন বৃদ্ধিতে কম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া যায়। পাঠালে কি হতো ভিটামিন সি আছে তাই এটি দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেহেতু কাঁঠালে পটাশিয়াম আছে তাই এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ বলতে গেলে কাঁঠালে শর্করা চিনি খনিজ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।কাঠালের বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ক্ষয় রোধ করে এবং হাড় গঠনে সাহায্য করে।

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কাঁঠাল ফল যেহেতু রসালো তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কাঁঠালের ভিটামিন সি এর পরিমাণ থাকায় অনেক সর্দি কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

কাঁঠাল গাছের পরিচর্যা

প্রিয় পাঠক চলুন আমরা কাঁঠাল গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে ও কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেয়।যেহেতু কাঁঠাল গাছ অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির এই আবহাওয়ার সাথেই মোটামুটি মানিয়ে নিতে পারে। তবে বেশি খরা প্রবণ এলাকায় এই গাছে ফলন তেমন একটা ভালো হয় না। কাঁঠাল গাছ লাগানোর জন্য জমি নির্বাচন ভালোভাবে ভেবে চিন্তে করতে হবে। যে জমিতে পানি জমে থাকে এবং ছায়াযুক্ত এই জমিতে কাঁঠাল গাছ লাগানো যাবে না।

কেননা অতি বৃষ্টির সময় এর শেকড় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং গাছ মারা যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে যে জমিতে পানি না জমে এবং জমিতে কাঁঠাল গাছের রোপন করতে হবে। কাঁঠাল গাছের পরিচর্যা করতে হলে প্রথমে ছেচের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছের গোড়ায় সার দিতে হবে। এবং গাছের ফুরায় যাতে আগুছানা জন্য সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর গাছে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে যাতে পোকার আক্রমন থেকে নিরাপদে থাকে।


তারপর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত সার না হয় গাছের বয়স অনুযায়ী স্যার প্রয়োগ করতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণে জৈব সার রাসায়নিক সার দিতে হবে রাসায়নিক সারের মধ্যে ডিএপি এম দেওয়া যেতে পারে। সার প্রয়োগের কিছুদিন পরে পানি সেচ দিতে হবে।

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আসুন প্রিয় পাঠক আমরা কাঁঠালের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়।যেগুলো কাঁঠালের চেয়ে অনেক পুষ্টিকরণ সমৃদ্ধ খাবার তাই এর উপকারিতা যেমন আছে অপকারিতাও আছে। তাই আসুন আমরা নির্দিষ্ট করে কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।যেহেতু কাঁঠাল একটি পুষ্টিগণ সমৃদ্ধ খাবার তাই কাঁঠাল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।

তার মধ্যে পাকা এবং কাঁচা কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়।কাঁঠালের পুষ্টিগুণ অনেক কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে তাই এটি কাঁচা রান্না করে খেলে অনেক সময় পেট ভরে থাকে। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে রান্না করে খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হয়।প্রত্যহিক জীবনে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে বিকেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারবেন।

আগে কাঁঠাল শুধু গ্রীষ্মকালে পাওয়া যেত কিন্তু এখন সারা বছর পাওয়া যায়। সুমিষ্ট এই ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম খনিজ উপাদান ভিটামিন এ সি ডি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। মতো কাঁঠাল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

এটি যাদের আলসার আছে তারা কাঁঠাল খেলে আলসারের সমস্যা থেকে সমাধান হবে। যেহেতু অনেক পুষ্টিকরণ তাদের উপকারিতা যেমন আছে উপকারিতা অপকারিতা ও পাশাপাশি আছে। যেমন অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের গোলযোগ দেখা দিতে পারে।

কাঁঠাল কোন পরিবেশে ভালো হয়

কাঁঠাল ক্রান্তীয় অঞ্চলে ভালো হয় এরা বেশি পানি সহ্য করতে পারে না।কাঁঠালের জন্য আবহাওয়া উষ্ণ ও আদ্র হলে ভালো হয়। প্রশ্ন ও আদ্র আবহাওয়া হলে কাঁঠাল চাষের জন্য উপযোগী আবহাওয়া। তারপরে যেহেতু কাঁঠাল খরা প্রবন অঞ্চলে খুব একটা ভালো হয় না।কাঁঠাল গাছের আবহাওয়া খুব ভালো হওয়া লাগে। যদি সেচের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে। কাঁঠাল গাছ বেলে দশ মাটিতে খুব ভালো হয়। 

সেচ সুবিধার বিকল্প না থাকলে খুব একটা ভালো হয় না। এরকম বেলে বেলে দশ মাটি ছাড়াও বাংলাদেশের পাহাড়িয়া অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল হয়।যেমন রাঙ্গামাটি বান্দরবান খাগড়াছড়ি আরো আছে ময়মনসিংহের ভালুকা এটা দিয়ে অঞ্চলগুলোতে উপযোগী। তাই বলা যেতে পারে বাংলাদেশে কাটা চাষের জন্য উপযোগী আবহাওয়া বিদ্যমান।

কাঁঠাল গাছে ফল ধরানোর উপায়

কাঁঠাল গাছে ফল ধরানোর উপায় বলতে গেলে বলতে হয় সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা না করলে গাছে ফলন ভালো হয় না। তাই নির্দিষ্ট সময়ে গুরুত্বের সাথে গাছের যত্ন এবং পরিচয় চ্যানেলে ফলন ভালো হয়। তাই প্রথমে আমাদেরকে পেড়ে নেওয়ার পরে গাছে পর্যন্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং সার দেওয়া হয়ে গেলে প্রয়োজনমত সেচের ব্যবস্থা দিতে হবে।

যেহেতু কাঁঠাল গাছের প্রচুর পরিমাণে পোকামাক আক্রমণ করে তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর কীটনাশকের ব্যবস্থা করতে হবে।গাছে ফলন বৃদ্ধির জন্য কয়েকবার সেচ দেওয়া জরুরী। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ঘাটতে থাকে তাহলে ফলন ভালো হবে না। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচের করতে হবে কাঁঠাল গাছে মুকুল আসলে মুকুল ঝরে পড়া প্রবণতা দেখা দেয় মুকুল যাতে না ঝরে যায় সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের প্রকার আক্রমণ হয় যেমন মাজরা পোকা এবং অনেক ফল ছিদ্রকারী পোকা আছে যা ছোট মুকুল আশা কাঁঠালের ভিতরে ঢুকে কাঁঠাল নষ্ট করে ফেলে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কিছু ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে যাতে করে ফল ঝরে না পড়ে। এত খারাপ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ল্যামডা জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

কাঁঠাল পাতার ব্যবহার

কাঁঠাল গাছ এমন একটি উদ্ভিদ এবং গুনাগুন সমৃদ্ধ যার তুলনা নাই।কাঁঠালের পুষ্টিগুণ অনেক। যেমন কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  আছে ।কাঁঠাল কাঁচাপাকা খাওয়া থেকে শুরু করে কাঁঠালের পতা এবং কাঁঠালের শিকড় ওষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাঁঠাল পাতার ব্যবহার বলতে আমরা মূলত ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য ভেবে থাকি। তবে এখন কাঁঠাল পাতা বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাঁঠাল পাতা ছাগলের জন্য খুব প্রিয় একটি খাবার। 

তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁঠাল পাতা গাছ থেকে কেটে নিলে গাছের জন্য আরো ভালো হয় পরবর্তীতে ফলন পাবার জন্য। তাই আমরা কাঁঠাল পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারি। কাঁঠাল পাতা যেমন একদিকে বাণিজ্যিকভাবে তেমনি এটি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কাঠের পাতা ব্যবহার করা যায় থেকে মুক্তি পেত কাঁঠালপাতা ব্যবহার করা যায়। সর্বোপরি কম বলা যায় গৃহপালিত প্রাণের জন্য কিছু উত্তম খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় কাঁঠাল পাতা।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক যদি আপনি আমাদের এই পোস্ট পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে এটি শেয়ার করে দেবেন। যাতে করে তারাও জানতে পারে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে যাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url