কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন জেনে নিন

কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার ব্যবহার ও গুনাগুন সম্পর্কে যদি আপনি জেনে না থাকেন।তাহলে আজকের এই আর্টিক্যাল টি থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই কাঁচা হলুদ চিনি এবং নিম পাতা চিনি কিন্তু।চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার এবং অন্যান্য গুনাগুন সম্পর্কে তেমন জানা নেই। তাই এই সম্পর্কে জানতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন জেনে নিন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এ সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আর দেরি না করে।চলুন জেনে নেওয়া যাক এর ব্যবহারবিধি।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার এর গুনাগুন অত্যন্ত কার্যকরী। এটিকে প্রাকৃতিক ও শুধু বলা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ রায় বলে থাকেন। এটি একটি ঔষধি গুন সম্পূর্ণ গাছ। এর ডাল দাঁত মাজন হিসাবে ব্যবহার করা হয়।এর বীজ থেকে যে তেল হয় এই তেল অত্যন্ত কার্যকরী।

কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুনএই নিম পাতা চর্ম রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী পালন করে। এই নিম পাতা স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই নিম পাতা প্রত্যেকদিন চুলে ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। নিয়মিত মুখে লাগালে ব্রণ মেছতা কালো দাগ দূর করে।

কোন জায়গায় চর্মরোগ হলে সেই জায়গায় নিমপাতার রস প্রত্যেকদিন ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। নিয়ম করে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার এই নিম পাতার রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। নিয়মিত নিম পাতার রস চর্ম রোগের ক্ষতস্থানে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জি সমস্যাতে নিমপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন অনেক। এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ফাঙ্গাস যা শরীরের বাইরে দেখা যায় প্রত্যেকদিন নিয়ম করে নিম পাতার রস ব্যবহার করতে হবে। কচি নিমপাতা গাছ থেকে পেড়ে সেই নিম পাতা যে রস পাওয়া যায় ওই রস প্রত্যেকদিন নিয়ম করে দিনে দুই থেকে তিন বেলা ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে।

যেই জায়গা বেশি চুলকায় সেই জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।নিম পাতার রস প্রত্যেকদিন ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা থেকে পরিত্রায়ন পাওয়া যায়।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

যেহেতু নিমপাতা একটু ঔষধি জীবন সমৃদ্ধ গাছ। এই নিম পাতার অনেক গুনাগুন আছে। যেমন নিয়মিত মুখে নিম পাতার রস ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের রাসের সমস্যা সমাধান হয়।কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন অনেক।

যেহেতু নিম পাতার অনেক রোগ প্রতিরোধী গুনাগুন আছে তাই এটি স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে রাতে এটি মুখে লাগিয়ে ব্যবহার করা যায়। এবং নিয়মিত ব্যবহার ফলে অনেক পুরাতন ব্রণ সমস্যার থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। তাই এক কথায় বলা যায় নিম পাতার গুনাগুন অনেক।

কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন জেনে নিন

কাঁচা হলুদ নিম পাতার গুনাগুন অনেক কাঁচা হলুদকে এবং নিমপাতা কে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে। প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে খেলে তার রক্ত পরিষ্কার হয়। যেহেতু নিমপাতা খেলে বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যার সমাধান হয়। যেমন পেট ফাঁপা এটা হজমের সমস্যা এসব সমস্যায় নিম পাতা রস হিসাবে এবং নিমের কচি পাতা খাওয়া হয়।
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন অনেক।নিয়মিত কচি নিম পাতা খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রেও নিয়ম করে নিম পাতার গুড়া কিংবা নিম পাতার রস প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে নিম পাতা খেলে ইনসুলিনের কাজ হয়।

নিম পাতার মতো কাঁচা হলুদের গুরুত্ব অনেক। যেমন পেট ফাঁপা দূর করে গ্যাসের সমস্যায় কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। করে যদি খালি পেটে প্রত্যেকদিন কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় তাই এক কথায় বলা যায় নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদের গুনাগুন অনেক।

ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার

যেহেতু নিমপাতা ত্বকের টোনার হিসেবে কাজ করে তাই নিম পাতা ব্যবহারের অনেক গুনাগুন আছে। তকে নিমপাতে ব্যবহার করতে হলে প্রত্যেকের নিয়ম করে ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম করে যদি নিম পাতা ব্যবহার করা যায় তোকে তাহলে ত্বকের উজ্জ্বল হতে পারে।
তোকে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন অনেক। তকে নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গুটি যেমন ত্বকে হয় এর সমস্যা সমাধানের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা যায়। নিম পাতা তো আগে ব্যবহারের ফলে ত্বকের নিচের কালো দাগ দূর করা যায়।
কোন ক্ষত চিহ্ন থাকলে সেগুলো দূর করা যায় বিভিন্ন ধরনের ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

এত নিম পাতার গুনাগুন অনেক এবং একটি ঔষধি গুন সমৃদ্ধ উপাদান আছে তাই নিম পাতার ব্যবহার অনেক। বিভিন্ন ধরনের চুলের সমস্যায় নিম পাতা ব্যবহার করা যায় যেমন যদি চুলে থাকে চুল পড়ে যায় রস নিয়মিত ব্যবহার করলে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। যদি চুল পড়ে তাহলে প্রত্যেকদিন নিয়ম করে নিমপাতার রস মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়াতে লাগাতে হবে লাগাতে হবে।

নিমপাতা কে বেটে এর রস অথবা ফেসপ্যাক তৈরি করে নিয়মিত চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে হলে চুলের খুশকি দূর হবে। আবার চুলের গোড়া নিম পাতার রস ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হবে। বলা যায় চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে নিমপাতা।

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদের গুনাগুন এবং এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন। আপনি যদি এই পোস্টটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার বন্ধুরা ও এর গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবে।

আই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার কোন মতামত কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট সেকশনে সেটা জানিয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url