রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয় জেনে নিন

রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে আপনি জানতে চান। রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলে সুন্দর করে রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়লে রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে এবং এই বিভাগে কয়টি জেলা আছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয় জেনে নিন
আমরা অনেকেই আছি যারা রাজশাহি বিভাগ সম্পর্কে এবং এই বিভাগে কয়টি জেলা আছে সেই সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিনা। রাজশাহী বিভাগে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে এ দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কেও আমরা অবগত নয়। তাই চলনা দেরি না করে আমরা রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

ভুমিকা

আমরা রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে এবং এই বিভাগের জেলাগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই পোস্টে। যেমন রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়। রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি এবং এই জেলাগুলোর দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম রাজশাহীতে কেন ক্লিন সিটি বলা হয় সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

প্রত্যেকটা জেলায় কতগুলো উপজেলা আছে, উপজেলার নাম আছে আমাদের এই পোস্টে। রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে জানতে হলে মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়লে রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

রাজশাহী বিভাগের জেলা ও রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়। রাজশাহী বিভাগের সর্বমোট জেলা হচ্ছে ৮ টি।সেগুলোর নাম যথাক্রমে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।রাজশাহী বিভাগের সর্ব পশ্চিমের জেলা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং সর্বশেষ উপজেলার নাম হচ্ছে শিবগঞ্জ। উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইন্ডিয়ান বর্ডার লাইন।

এবং রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব জেলা গুলোর মধ্যে নাটোর পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ। রাজশাহী বিভাগের উত্তর জেলা গুলোর মধ্যে পড়ে নওগাঁ বগুড়া এবং উত্তর পশ্চিমের মধ্যে পড়ে জয়পুরহাট। এই আটটি জেলার সমন্বয়ে রাজশাহী বিভাগ গঠিত।প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে রাজশাহী বিভাগ অন্যান্য বিভাগের থেকে আলাদা এখানে এই বিভাগে অনেক দর্শনীয় স্থান। 

বাংলাদেশের পূর্ণতার দিক নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এবং অনেক দর্শনীয় স্থান যা কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রাচীন এই নগরীতে রয়েছে অনেক মন্দির মসজিদ এবং পদ্মার তীরবর্তী অনেক দর্শনীয় স্থান এগুলোর মধ্যে অন্যতম ইসলাম প্রচারের জন্য আশা হযরত শাহ মখদুম এর মাজার বরেন্দ্র জাদুঘর পুঠিয়া রাজবাড়ী, শিশু পার্ক, জাতীয় উদ্যান বা চিড়িয়াখানা। 

দর্শনের স্থান গুলোর মধ্যে বাঘা মসজিদ অন্যতম।রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আরো এক এক জেলায় এক এক রকম দর্শনীয় স্থান যেমন নওগাঁ জেলার মধ্যে জেলার মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি বা প্রতিশর।বগুড়া জেলার মধ্যে মহাস্থানগড় অন্যতম।

নাটোর জেলার মধ্যে অন্যতম নাটোরের রাজবাড়ী রানির বাসভবন পাটুলের বিল বা মিনি কক্সবাজার। এবং আরো অন্যান্য দর্শনীয় পার্ক আছে। পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ মিলে চলনবিল অবস্থিত যা বাংলাদেশের সবচাইতে বড় বিল। সেই বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্যতম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহী সুলতানি আমলের অনেক নিদর্শন আছে।

তার মধ্যে অন্যতম ছোট সোনা মসজিদ, ধনিয়া মসজিদ, এবং আরো অনেক ছোটখাটো মসজিদ অবস্থিত। এবং আরো আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর এর সমাধিস্থল। যেহেতু বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইন্ডিয়ান বর্ডার লাইনের সাথে সংযুক্ত বাংলাদেশের অন্যতম ল্যান্ড বোর্ড সোনা মসজিদ এই জেলাতে অবস্থিত।

রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি

রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়। রাজশাহী বিভাগের সবচাইতে বড় জেলার নাম হচ্ছে নওগাঁ এই নওগাঁ জেলা ৩৪৩৫ পর্ব কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। নওগাঁ জেলায় 11 টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। তাদের মধ্যে নিয়ামতপুর, পোরসা, সাপাহার, বদলগাছি, আত্রাই, মান্দা, মহাদেবপুর, রানীনগর, ধামুইর হাট, পত্নীতলা। এই নওগাঁ জেলা বরেন্দ্র অঞ্চলের মধ্যে পড়ে এই অঞ্চলের জীবিকা কৃষি।

নওগাঁ জেলার জীবন জীবিকার মধ্যে বৈচিত্র এনে দিয়েছে এখানকার জীবনধারণ বিভিন্ন শ্রেণীর পেসার মানুষ এখন কাজ করে। বিভিন্ন জনজাতির মানুষজন এখানে বাস করে নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে আত্রাই নদী ও করতোয়া। এবং এই জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, দিবরদিঘী , আলতা দিঘী, মহাদেব রাজবাড়ী, কুসুম্বা মসজিদ, প্রতিসর ইত্যাদি। জেলার উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতি খেলাধুলার মধ্যে হাডুডু,পহেলা বৈশাখ, নৌকা বাইচ ইত্যাদি।

রাজশাহী বিভাগের উপজেলা সমূহ

রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়। রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা।এই জেলার অন্তর্গত উপজেলা সমূহ যেমন তানোর, গোদাগাড়ী, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া এবং পবা। সে ব্যাপারে আরো একটি অন্যতম জেলা নাটোর এর উপজেলা সমূহ হচ্ছে। নাটোর সদর, লালপুর, শিংড়া,গুরুদাসপুর, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম ইত্যাদি।

পাবনা জেলার রাজশাহী বিভাগের আরো একটি অন্যতম জেলা এ জেলার উপজেলা সমূহ হচ্ছে বেড়া, ভাঙ্গুর , সাথিয়া চাটমোহর, আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী, সুজানগর, পাবনা সদর ইত্যাদি। রাজশাহী বিভাগের আরো একটি জেলা সিরাজগঞ্জ এই জেলার উপজেলা সমূহ হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কামারখন্দ, কাজিপুর, চোহালি, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর,তাড়াশ ইত্যাদি।


বগুড়া জেলা ১২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত তার মধ্যে বগুড়া সদর, দুপচাচিয়া, আদমদীঘি, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, শেরপুর, শিবগঞ্জ, শাহজাহানপুর, গাবতলী, কাহালু, নন্দীগ্রাম ইত্যাদি।জয়পুরহাট জেলা ৬টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এরমধ্যে হচ্ছে ক্ষেতলাল, কালাই, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট সদর ইত্যাদি। রাজশাহী বিভাগের আরো একটি অন্যতম জেলা হচ্ছে নওগাঁ।

জেলায় 11 টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। তাদের মধ্যে নিয়ামতপুর, পোরসা, সাপাহার, বদলগাছি, আত্রাই, মান্দা, মহাদেবপুর, রানীনগর, ধামুইর হাট, পত্নীতলা।রাজশাহী বিভাগের সর্ব পশ্চিমের জেলা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে টিচার টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ভোলাহাট, এবং নাচোল।

রাজশাহী কে কেন ক্লিন সিটি বলা হয়

বর্তমানে রাজশাহী সিটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গ্রীন এবংরাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয় ক্লিন সিটি নামে পরিচিতি পেয়েছে। এই শহরের বাতাসে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেক কম।এই শহর গেলে মন ক্লিন সিটি তোর আরো একটি অন্যতম কারণ এই শহরের রাস্তাগুলো ঝা চকচকে এবং দৃষ্টিনন্দন আলোক বাতি যা সবাইকে মুগ্ধ করবে।

এই শহরের রাস্তা প্রত্যেকদিন প্রত্যেকদিন ক্লিন করা হয়। রাস্তার মধ্যে আইল্যান্ডের দৃষ্টিনন্দন সব ফুলের বাহার এবং অনেক প্রজাতির গাছ শোভা পাচ্ছে আচ্ছা সবাইকে মুগ্ধ করবে। শহর দিনের বেলা যতটা না সুন্দর রাতের আলোয় তা সবাইকে মুগ্ধ করে। এ শহরের মানুষগুলো এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সাথে মানিয়ে নিয়েছে। আর স্টেট ফুডের দোকানগুলোই তাদের নিজস্ব ডাস্টবিনে ময়লাগুলো ফেলে এই কারণে রাস্তার আশেপাশে ময়লা কম হয়।

এখানকার যারা জনপ্রতিনিধি আছে তারা সবাই চেষ্টা করে শহরটাকে গোছানো এবং পরিচ্ছন্ন রাখার শহরে প্রচুর পরিমাণে নগরায়ন হচ্ছে নগরায়নের ফলে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু পাশাপাশি অনেক অন্য প্রজাতির গাছ রোপন করা হচ্ছে নগরায়নকে সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন করার জন্য এবং বিশুদ্ধ বাতাস পাবার জন্য।

রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়

রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী বলার অন্যতম কারণ হচ্ছে রাজশাহীতে অনেক পুরাতন আমল থেকেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন এশিয়ার সবচাইতে বড় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রাজশাহী কলেজ রাজশাহী মহিলা কলেজ সিটি কলেজ অন্যতম।

এখানে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেটা নেই তেরা সেকি শিক্ষা নগরী বলা হয়। উত্তরাঞ্চল তথা গোটা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে অনেক উন্নত রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরঅধিনে অধীনে রাজশাহী কলেজ সর্বশ্রেষ্ঠ।

রাজশাহীর বিখ্যাত ব্যক্তির নাম কি

রাজশাহী কে শিক্ষানগরী কেন বলা হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামান লেখক হাসান আজিজুল হক মোঃ শামসুজ্জোহা পালং সরকার প্রফেসর মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ডক্টর সেলিনা অন্যতম। ইনারা রাজশাহীকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদের জ্ঞানের মুগ্ধতায়।

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষীদের শেয়ার করে দিবেন। আর যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে মতামত জানাবেন ধন্যবাদন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url